দেলোয়ার হোসেন:
সদ্য প্রয়াত জেলা বিএনপির সদস্য ও রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.এম ফেরদৌস আমাকে ভাগিনা বলেই ডাকতেন। উনাকে আমি ছোট বেলা থেকেই চিনি-জানি। যেখানেই দেখা হতো, ডাক দিতেন। কেমন আছি জিজ্ঞেস করতেন।
হঠাৎ অনেক কাজের ব্যস্ততার মাঝখান থেকেই তিনি আড়াল হয়ে গেলেন। নিয়তি তাঁকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। জোর করে আমাদের কাছ থেকে সরিয়ে নিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শের ওপর গভীর আস্থাশীল এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক মরহুম এস.এম ফেরদৌস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করে গেছেন।
দলের দূর্দিনে/যে কোন নির্বাচনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্যাগী নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক শুন্যতা কখনো পুরণ হবার নয়। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই হাসতে -হাসতে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল পরপারে।
মরহুম এস.এম ফেরদৌস শিশুদের মতো হাসতে পারত। তাঁর পেশাগত কাজে নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। মৃত্যুভয় তাকে কাবু করতে পারেনি।
এইতো অতি সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়াকে বরণ করতে রামু বাইপাস এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে নেত্রীকে অভ্যথনা জানাতে জড়ো হয়,
রামু উপজেলা প্রশাসন পুলিশ সহ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে এস,এম,ফেরদৌস নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় আরো শক্তভাবে অবস্থান নেন।

দেলোয়ার হোসেন

এসময় তিনি জোর প্রতিবাদ করে বলেন, নেত্রীকে বরণ করা ছাড়া আমরা এখান থেকে একচুল্ও নড়বনা।
আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন নয়তো আপনারা এখান থেকে চলে যান।
প্রশাসন সেদিন তাঁর দৃড় মনোবলের সাথে অনড় মনোভাব দেখে সেদিন ফিরে গিয়েছিল।
দলকে এমনভাবে ভালো না বাসলে প্রায় ৬৫ বছর বয়সে আরাম-আয়েশ ছেড়ে রাজপথে এসে কেউ এমন কষ্ট করতে পারে?
রাজনীতিতে এমন বিশ্বস্থ, বিনয়ী, সৎ ও গুণী মানুষ এস.এম ফেরদৗসকে আমরা ধরে রাখতে পারলাম না। তাঁর ত্যাগ ভালবাসা আবেগ সব কেড়ে নিয়েছে নিষ্ঠুর ঘাতক টমটম অব্যবস্থাপনায় ভরা ট্রাফিক আর অদক্ষ ড্রাইভার। ওরা কি বুঝবে আমাদের প্রিয় নেতা এস.এম ফেরদৌসের অবদান ও গুরুত্ব?
পরিশেষে মরহুম এস.এম ফেরদৌস চেয়াম্যানের আত্নার মাগফেরাত কামনা করি। মহান আল্লাহ’র নিকট প্রার্থনা করি- তিনি যেন মরহুমকে জান্নাতুল ফৈরদৌস নসীব করেন। আমিন…